বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই বর্ধিত সময়ে তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করা যাবে। একইসঙ্গে, হজ প্যাকেজের পুরো অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধনও করা যাবে।
নিবন্ধন-সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে বিশেষভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, হজ এজেন্সি এবং হজযাত্রীদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বিবেচনায় নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সুস্থ হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে বর্ধিত সময়ের পর আর কোনো সময় বৃদ্ধি করা হবে না।
এর আগে, গত ১৫ ডিসেম্বর হজ নিবন্ধনের পূর্ব নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল। সে সময় মন্ত্রণালয় জানায়, হজ নিবন্ধনের চূড়ান্ত সময় শেষ হলেও প্রায় ৫৭ হাজার কোটা ফাঁকা ছিল। সৌদি সরকারের আল্টিমেটামের কারণে আর সময় বাড়ানো সম্ভব হয়নি।
হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন মৌসুমে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের জন্য কোটা বরাদ্দ ছিল, যার মধ্যে রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত ৬২ হাজার ২১২ জন হজযাত্রী চূড়ান্ত নিবন্ধন করেছেন।
এছাড়া, প্রায় ৮ হাজার হজযাত্রী ব্যাংকে ভাউচার জমা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে, মোট ৭০ হাজার হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এর ফলে, এক দফা সময় বাড়িয়েও প্রায় ৫৭ হাজার কোটা ফাঁকা রয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালে হজে যাওয়ার জন্য সরকার দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সাশ্রয়ী প্যাকেজ অনুযায়ী খরচ ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ২৪২ টাকা, আর অন্য প্যাকেজের খরচ ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। এই প্যাকেজে বিমান ভাড়া কমিয়ে ২৭ হাজার টাকা কমানো হয়েছে, তবে খাবারের খরচ (৪০ হাজার টাকা) এবং কোরবানির জন্য ৭৫০ সৌদি রিয়াল আলাদাভাবে নেওয়া হবে। গত বছর এসব খরচ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সরকারি প্যাকেজের সঙ্গে সমন্বয় করে বেসরকারি হজ এজেন্সি মালিকরাও একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এবং তারা বিমান ভাড়া কমানোর দাবিও জানিয়েছেন।