১৯৭১ সালের অর্জিত স্বাধীনতা কুক্ষিগত ও দলীয়করণ করার প্রবণতার কারণে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছিলাম বলেই মাত্র নয় মাসে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। তবে সেই ঐক্য ধরে রাখতে যে মেকানিজম উদ্ভাবন করা দরকার, তা করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তৎকালীন নেতারা।’
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে একটি আন্তর্জাতিক মহল হত্যা করেছে। একক কোনো গোষ্ঠী এখানে জড়িত ছিল না। বরং আন্তর্জাতিক চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তারা।’
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা জানি সময়ের সেরা বুদ্ধিজীবী ছিলেন সক্রেটিস। তাকে গণতন্ত্রের কথা বলতে গিয়ে জীবন দিতে হয়েছিল। এটিই হচ্ছে শিক্ষাবিদদের ইতিহাস।’
‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী’ দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-আমিন।
সভায় আরো বক্তব্য দেন ক্লাব ক্যাম্পাসের সাধারণ সম্পাদক, অফিসার সমিতির সভাপতি ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে, সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন ও ক্লাব শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।