চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানাধীন চালিতাতলী এলাকায় সরোয়ার হোসেন বাবলাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা, প্রতিবন্ধী অটোরিকশা চালক ইদ্রিসকে হত্যাচেষ্টা এবং রাউজান থানা এলাকায় সংঘটিত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মূলহোতা ইশতিয়াক চৌধুরী প্রকাশ অভিসহ ৬ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার অভিযানের বিস্তারিত জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।
তিনি জানান, বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম–৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগ চলাকালে বায়েজিদ বোস্তামী থানার হামজারবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে প্রকাশ্যে গুলি চালায়। এতে সরওয়ার হোসেন বাবলা নিহত এবং এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
অন্যদিকে, একই রাতে রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষে উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি মো. ইসমাইল, শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এবং বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল গুলিবিদ্ধ হন।
অটোরিকশা চালক ইদ্রিস হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি আরমান আলী
৬ নভেম্বর বিকেলে একই থানার চালিতাতলী এলাকায় প্রতিবন্ধী অটোরিকশাচালক মো. ইদ্রিসকে গুলি করে জখম করে দুর্বৃত্তরা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব–৭ এর অধিনায়ক জানান, এসব ঘটনার মূলহোতা হিসেবে সন্দেহভাজন ইশতিয়াক চৌধুরী অভি ও তার সহযোগী জ্যাকি, জনি, রাজ এবং হেলালসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে চান্দগাঁও থানার হাজিরপুল এলাকা থেকে সরওয়ার হোসেন বাবলা হত্যা মামলার দুই আসামি মো. আলাউদ্দিন ও মো. হেলালকে আটক করা হয়।
এর আগে রাত ১২টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার রউফাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে প্রতিবন্ধী রিকশাচালক ইদ্রিসের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় মো. আরমান আলী রাজকে আটক করে র্যাব।
রাউজানে প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণকারী ইশতিয়াক প্রকাশ অভি, জনি এবং জ্যাকি
একই রাত ১টা ৪০ মিনিটে চকবাজার থানার চন্দনপুরা এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে রাউজান গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষের মূলহোতা ইশতিয়াক চৌধুরী অভি, তার সহযোগী জনি ও মাহমুদুল হক জ্যাকিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযানে তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও চার রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব–৭ এর অধিনায়ক জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
এছাড়াও জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

