মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল আমরা পাকিস্তান থেকে এ দেশকে মুক্ত করে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবো। এদেশের সাধারণ জনতা সামাজিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পাবে। কিন্তু সেটি হয়নি।
শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের সাথে আতাত করেছে। একদলীয় বাকশাল কায়েম করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে।’
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টড়্রামের মিরসরাই উপজেলার স্থানীয় বড়তাকিয়া বাজারে আঞ্চলিক সড়কে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্পষ্ট বার্তা— দলের নাম ভাঙিয়ে যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, চাঁদাবাজি করছে দলে তাদের স্থান হবে না। সামনে সময় খারাপ আসছে। দল কখনো এসবের দায়িত্ব নিবে না। শেখ হাসিনা সরকার বিএনপির ওপর স্ট্রিম রোলার চালিয়েছে; তবুও দমাতে পারেনি। শহীদ জিয়া এমন দল সৃষ্টি করেছে জাতীয়তাবাদী চেতনা থেকে এদেশের মানুষকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে নাই। মানুষের মতামতের ভিত্তিতে আগামীর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের পূর্ণ সমথর্ন নিয়েই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বিএনপি।
খৈয়াছড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহিম ও গিয়াস উদ্দিনের সঞ্চালনায় সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈনউদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্যে রাখেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা বিএনপির সদস্য আবদুল আওয়াল চৌধুরী, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দিন লিটন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর মোস্তফা, উত্তর জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম লতিফী, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহেদুল আফসার ভূঁইয়া জুয়েল, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সরোয়ার হোসেন রুবেল, সদস্য সচিব মুহাম্মদ ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিজয় দিবস উপলক্ষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।